শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
এইচ, এম হেলাল॥ বরিশাল কীর্তনখোলা নদীর তীর সংরক্ষণ বাধ নির্মাণে অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, বাঁধ নির্মাণে আগের সামগ্রী সঠিক ভাবে ব্যবহার করলেও শনিবার ( ১৬ জুলাই) তিনটি জাহাজে নিম্নমানের পাথর আসে।
বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরে আসলে তাৎক্ষনিক ওই জাহাজ থেকে পাথার নামাতে নিষেধ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল।
এসময় নিম্নমানের পাথর আসায় খুলনা শিপইয়ার্ড লি ঃ ( খুশিলি)কে একটি চিঠি দেয় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড। চিঠির পাশাপাশি প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ গোলাম রব্বানীকে দৃষ্টি আর্কষন করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চরবাড়িয়া এলাকায় ৩৩৬৬ মিটার কীর্তনখোলা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের জন্য দুইশত নয় কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শিপইয়ার্ড ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ তারিখে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে নদীর পানি বৃদ্ধির কারনে কাজটি বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে,সিলেট থেকে ৩৫ হাজার ফুট পাথর নিয়ে বরিশালে তিনটি জাহাজ আসে যার মুল্য প্রায় চার লক্ষ টাকার অধিক। একটি জাহাজের পাথর শ্রমিকরা নামতে থাকেন ।
রবিবার ( ১৭ জুলাই ) সাইড পরিদর্শন করতে যান জাবেদ ইকবাল। তিনি পাথর নিম্ম মানের হওয়ার কারনে কাজ বন্ধ করে দেন। পাথর নিম্ম মানের থাকায় মঙ্গলবার ( ২১ জুলাই ) খুলনা শিপইয়ার্ড লি ঃ (খুশিলি) বরারবর একটি চিঠি দেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড। পাশাপাশি পাথর ভর্তি জাহাজ অপসারন করতে বলা হয়।
সিলেট থেকে পাথর ভর্তি জাহাজের এক শ্রমিক জানান, বর্তমানে সাইডে যে পাথর রাখা আছে সেটা ভালো মানের, জাহাজ ভর্তি পাথর রযেছে তাতে ক্রটি আছে। পাথরে ক্রটি আছে প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ গোলাম রব্বানী তা জানতেন। জেনে শুনে তিনি নিম্ম মানের পাথর বরিশাল চরবাড়িয়া সাইডে অর্ডার করেছেন।
একটি সুত্র বলছে, বেশি অর্থের লোভে প্রজেক্ট ম্যানেজার ৩৫ হাজার ফুট পাথরের অর্ডার করে থাকেন। অপর এক সুত্র বলছে , গোলাম রব্বানী সিভিল বিষয় তেমন কিছুই বোঝেন না।
এসকল বিষয় নিয়ে প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মোঃ সফিউদ্দিন বলেন, পাথর বোঝাই তিনটি জাহাজ আসছে ,ওই জাহাজ গুলোতে নিম্ম মানের পাথর থাকায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে শিপইয়ার্ডকে চিঠি দেয়া হয়েছে। নিম্ম মানের পাথর দিয়ে ঢালাই দেয়া হবে না।নদীর পানি কমে গেলে পাথর সরিয়ে নেয়ার কথা রয়েছে।
প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ গোলাম রব্বানী বলেন, পাথর আমরা রিজেক্ট করেছি অলরেডি। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং নেভি,আমরা বলেছি এই পাথর দিয়ে কাজ করতে পারবানা ।
যেখান থেকে পাথর আসছে বন্যার পানিতে সেই জায়গাটা ডুবে গেছে। জাহাজের শ্রমিকরা বলছে স্যার আমরা মাল গুলো এক জায়গায় রাখি ,ঈদের পর আমরা নিয়ে যাবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সাইড থেকে একটু দুরে পাথর রাখার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।যে পাথর গুলো নামানো হয়েছে তা আমার এরিয়া থেকে সড়িয়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এই পাথর কোনো ক্রমে ব্যবহার করা হবে না। সিঙ্গেল পাথার থাকার কারনে রিজেক্ট করা হয়েছে। এইটা নৌবাহিনী শক্ত ভাবে দেখতেছে,এসব পাথর দিয়ে কোনো ভাবে কাজ করা হবে না।
এ বিষয় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল ( অবঃ)জাহিদ ফারুক শামীমকে একাধীকবার তার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply